পরিকল্পনা সফল হলে বাকি টুর্নামেন্টগুলিতেও অনুসরণ করা হতে পারে এই নীতি।
লকডাউন পরবর্তী খেলাধুলোর আঙিনায় সবথেকে বড় যে বদলটা চোখে পড়ছে বা পড়তে চলেছে, তা হল সমর্থকদের অনুপস্থিতি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় লকডাউনের আগে থেকেই ফাঁকা গ্যালারিতে ম্যাচ আয়োজিত হচ্ছে। যেহেতু করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, স্বাভাবিকভাবেই লকডাউনের পরেও মাঠে গিয়ে দর্শকদের খেলা দেখা সম্ভব নয়।
লকডাউনের পর প্রথম সারির বড় টুর্নামেন্ট বলতে বুন্দেশলিগা শুরু হয়েছে খালি গ্যালারিতে। আপাতত রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামেই প্রিমিয়র লিগ, সিরি-এ’র মতো বাকি টুর্নামেন্টগুলি শুরু হওয়ার কথা জানানো হলেও, ছবিটা বদলাতে পারে অচিরেই। ইতালিয়ান ফুটবল লিগে আগামী মাসেই গ্যালারিতে অল্প সংখ্যক দর্শক সমাগমের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
সমর্থকদের ছাড়া খেলতে নামা খেলোয়াড়দের কাছে কখনই উৎসাহজনক নয়। সেকথা মাথায় রেখেই ইতালিয়ান ফুটবল সংস্থা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করে অল্প সংখ্যক দর্শকদের মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়ায় বিষয়ে।
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে সিরি-এ’র বাকি ম্যাচগুলি। তার আগে ইতালিয়ান ফুটবল সংস্থা ৪০ পাতার নির্দেশিকা জারি করে ম্যাচ আয়োজনের নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছে। বর্তমান নিয়মে ম্যাচের সময় দুই দলের খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, কর্মকর্তা ও সাংবাদিক মিলিয়ে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মাঠে থাকতে পারবেন না। তবে সংবাদমাধ্যমে খবর, পরবর্তী বৈঠকেই ইতালিয়ান ফুটবল সংস্থা দর্শকদের মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবে।
ফেডারেশন সভাপতি গ্যাব্রিয়েল গ্রাবিন্দা এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘এই বিষয়টা (দর্শক সমাগম) আমি মন থেকে চাইছি। এটা মেনে নেওয়া কঠিন যে, ৬০ হাজার মানুষকে একসঙ্গে বসে খেলা দেখার ব্যবস্থা করতে পারে যে স্টেডিয়াম, সেখানে সতর্ক হয়ে অল্প কিছু মানুষকেও খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা যাবে না।’
সুতরাং, সব ঠিকঠাক থাকলে আবার মাঠে গিয়ে রোনাল্ডোদের খেলা দেখতে পারবেন ইতালিয়ান ফুটবল সমর্থকরা। ইতালিয়ান ফেডারেশনের পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তবে বাকি টুর্নামেন্টগুলিতেও সেই নীতি অনুসরণ করা হতে পারে।