করোনার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সংক্রমণ ঠেকাতে সীমিত করা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও।
‘অফিসে আসতে পারবেন ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা’ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা অফিস করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়গুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় যে কাজগুলো আছে এখন আমরা সেই কাজগুলো করতে চাই। সেক্ষেত্রে চার ভাগের এক ভাগ (২৫ শতাংশ) বা পাঁচ ভাগের এক ভাগ (২০ শতাংশ) কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। যারা অসুস্থ আছেন, তারা ঘরে বসে কাজ করবেন তারা অফিসে আসবেন না, এভাবে আমরা সাজিয়েছি। যাতে কেউ এখানে আক্রান্ত না হন।’
ভিডিওকলে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ে কোনো কোনো কর্মকর্তার প্রয়োজন ছিল না তারপরও তারা এসেছে। তাদের কোনো কাজ ছিল না। তাদের কাছে বার্তা ঠিকমতো পৌঁছায়নি।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞাসহ স্বল্প পরিসরের সরকারি অফিস খুলেছি। অনেক বেসরকারি আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আমাদের ১৮টি মন্ত্রণালয় স্বল্পপরিসরে এতদিন চালু ছিল। রবিবার প্রথম দিন আমরা সচিবালয়ে যে চিত্র দেখেছি অধিকাংশ মন্ত্রণালয়, যেভাবে আমরা বলেছি যে- বয়স্ক কর্মকর্তারা আসবেন না, অসুস্থ এবং সন্তানসম্ভবা নারী কর্মকর্তারা আসবেন না, সেটা আমরা মেইনটেইন করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রবিবার ছিল প্রথম দিন, অনেকগুলো মন্ত্রণালয় অত্যন্ত কম সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে, যারা বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন, তাদের আমরা আসতে বারণ করেছি, তারা আসেননি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। প্রথম দিন আমরা দেখলাম আমাদের অবজারভেশনে কিছু ত্রুটি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই ১৫ দিনে আমরা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বেসিসে কাজ করব। আজ যে ভুলগুলো হয়েছে কাল যাতে সেই ভুলগুলো না হয় সেটাই আমরা করতে চাই।’
করোনা বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে খুলেছে সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো। আজ থেকে পথে চালু হয়েছে গণপরিবহন। তবে সব ক্ষেত্রে সরকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করেছে। বাইরে বেরিয়ে মাস্ক ব্যবহার না করলে লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অনাদায়ে হবে জেল।