এ বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে আশাতীত সাফল্য পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ছেলেদের টুর্নামেন্ট নিয়ে তাই আশাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। ১৮ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা ছিল ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় অক্টোবরের সূচি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসই স্বীকার করেছেন, বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা দিন দিন কমে আসছে।
বরাবরের মতোই এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব থাকবে। ফলে ১৬টি দল অংশ নেবে বিশ্বকাপে। সংক্রমণের ফলে যেখানে একটি অতিথি দলকে সামলাতেই খাবি খেতে হবে, সেখানে ১৬ টি দলকে নিরাপদে রাখার কঠিন কাজ নিয়ে চিন্তিত সবাই। ১৬ টি দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিশাল বহরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচান খুবই সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়ায় ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে এখনো সীমানা খোলা হয়নি, এবং কবে সেটা করা নিরাপদ হবে সেটাও জানা যাচ্ছে না।
আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আশা করেছিল অক্টোবরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু মে মাস প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের তীব্রতা দেখে আশা হারিয়ে ফেলছেন তারা। ইন্ডিয়া টুডেকে রবার্টস বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা আশাবাদী নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারব। কিন্তু এটাও স্বীকার করতে হবে, বিশ্বকাপের বর্তমান সূচি অনেক বড় ঝুঁকির মধ্যে আছে। যদি এটা না হয়, তাহলে হয়তো আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে আয়োজন করা যেতে পারে। অথবা পরের বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে। এ নিয়ে অনেক জটলা বেঁধেছে গত কিছুদিনে। ফলে আইসিসির জন্য এটার সমাধান বের করা বেশ কঠিন।’
বৃহস্পতিবার আইসিসির সভায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপাতত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিনক্ষণ পিছিয়ে ১০ জুন করা হয়েছে। তবে এটা অনেকটা নিশ্চিত যে, আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে যদি অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ আয়োজন করতে না পারে, তবে সেটা ২০২২ এর অক্টোবর-নভেম্বরের আগে আর সম্ভব হবে না। কারণ, ২০২১ এর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে।