রিজেন্টকাণ্ডে এরই মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি সইয়ের নথিও সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রয়োজনে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদেরও ইঙ্গিত দুদক সচিবের। কমিশনের বর্তমান ও সাবেক আইনবিভাগের কর্মকর্তারাও বলছেন, তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে তলবে আইনি বাধা নেই।
গত ২১ মার্চ রাজধানীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরে করোনা সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। এর পরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের উপস্থিতিতে রিজেন্ট হাসপাতালের পক্ষে পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সমঝোতা চুক্তি সই করেন।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এ সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। পরদিন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে চায় মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে চুক্তিপত্র কপি, রিজেন্ট হাসপাতালের নবায়ন কপিসহ বেশ কিছু নথি দুদকের হাতে।
খতিয়ে দেখা হচ্ছে লাইসেন্সের নবায়ন নেই এমন প্রতিষ্ঠান কিভাবে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে অনুমোদন পেলো। অন্যদিকে ছবিতে স্পষ্ট চুক্তি সাক্ষরে কারা উপস্থিত ছিলেন। রিজেন্টকাণ্ডে এবার মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের ইঙ্গিত দুদক সচিবের।
দুদক সচিব মো. দিলোওয়ার বখত বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন অতীতে কাকে কাকে ডাকা হয়েছ কি করা হয়েছে। পরবর্তীতে যদি আরো কিছু করতে হয় কমিশনের সিদ্ধান্তে তা করা হবে।’
এর আগেও বিভিন্ন দুর্নীতি অনুসন্ধানের স্বার্থে দায়িত্বরত মন্ত্রী সচিবদেরও দুদকে তলবের দৃষ্টান্ত রয়েছে। দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এর ১৯ ও ২০ ধারা অনুযায়ী যে কাউকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদে আইনি বাধা নেই, বলছেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান আইনজীবীরা।
দুদক আইন শাখার সাবেক পরিচালক মইদুল ইসলাম অ্যাড খুরশিদ আলম বলেন, ‘দুর্নিতি দমন কমিশন তার নিজস্ব আইন অনুযায়ী তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে ডাকার ক্ষমতা আছে। কাকে ডাকা হচ্ছে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।’