বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা বুধবার। গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ। এই তিন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। পঞ্জিকা অনুসারে বুদ্ধপূর্ণিমার তিথি ২৫ মে রাত ৮টা ২৯ মিনিট থেকে শুরু। এই তিথি সমাপ্ত হবে ২৬ মে বুধবার বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটে। বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এদিন পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিবিধ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। তবে এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হবে।
জানা গেছে, দেশের শীর্ষ বৌদ্ধ সংগঠনগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ-বাংলাদেশ, বনভন্তে শিষ্য সংঘসহ সব বিহার, প্যাগোডায় কোনো রকম শুভ বুদ্ধপূর্ণিমার আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুসংঘরা বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয় কার্য সমাধা করবেন। ভক্ত ও উপাসকরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ধর্মীয় কার্য প্রতিপালন করবেন বলে জানানো হয়েছে।