করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতির মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের হেফজেতে দুই দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Related Stories
সোমবার সাবরিনাকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আতিকুল ইসলাম জামিন নাকচ করে এই আদেশ দেন।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে সাবরিনাকে ডিবি পুলিশের মিন্টো রোডের কার্যালয় থেকে আদালতে নেওয়া হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
অন্যদিকে সাবরিনার পক্ষে সাইফুজ্জামান (তুহিন), ওবায়দুল হাসান বাচ্চু, আবদুস সালামসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এর বিরোধিতা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন।
এ সময় জেকেজির কমকর্তা হুমায়ুন কবির হিমু ওরফে হিরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার- সংক্ষেপে জেকেজি।
কিন্তু জুনের শেষ দিকে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও তারা দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।