সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমার ছোট বোন নুসরাত জাহান মুনিয়ার হত্যা সংক্রান্ত ঘটনার আলোকে আমি বাদী হয়ে গুলশান থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর এর বিরুদ্ধে মামলা করি। গুলশান থানায় যার মামলা নং ২৭। বর্তমানে ওই ঘটনাটি প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত ঘটনা হিসেবে চলমান রয়েছে। এ বিষয়টি কেন্দ্র করে মামলার পর থেকে বিবাদী পক্ষের কয়েকজন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে আমাকে ও আমার স্বামীসহ পরিবারবর্গের সদস্যদের মামলা প্রত্যাহার করে সমঝোতা করার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে।
সাধারণ ডায়েরিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা প্রত্যাহারসহ বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সুরাহা না করলে টাকার বিনিময়ে আমাকে অথবা আমার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের যেকোনো উপায়ে বিপদে ফেলে অথবা যেকোনো অঘটন ঘটিয়ে আমাদেরকে খুন-জখম করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। যেকোনো ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া ও নাজেহাল করবে বলে একাধিকবার কল করে হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখে। তারা যেকোনো সময় আমাকে অথবা আমার পরিবারের সদস্যদের কুমিল্লাসহ দেশের যেকোনো স্থানে যাতায়াতের পথে সময়-সুযোগমতো পেলে আক্রমণ করে মারপিট ও খুন-জখম করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছি। তাদের দ্বারা ভবিষ্যতে আমিসহ আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের জানমালের যেকোনো প্রকার অপূরণীয় ক্ষতি হওয়াসহ হয়রানির শিকার হতে পারি বলেও আশঙ্কা করছি।
সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গুলশানের একটি মামলার বাদী নুসরাত জাহান তার নিজের এবং পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা এ সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গুলশানের একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ অভিযোগে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন।