দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চরম আকার ধারণ করেছে, এই অবস্থায় নমুনা পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরীক্ষার ওপর জোর না দিলে মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পোশাক শ্রমিকদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষায় নিজেদের উদ্যোগে গাজীপুরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের পরীক্ষার যে উদ্যোগটি বিজিএমইএ নিয়েছে, তা খুবই ইতিবাচক। একইসঙ্গে ল্যাবের পাশাপাশি আইসোলেশন সেন্টার ও কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থাও খুবই জরুরি।’
পরীক্ষা না করলে অনেকেই অসুস্থ হবে এবং মহামারি ছড়িয়ে যাবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যার ফলে অনেক লোক আক্রান্ত হবে এবং শিল্প চালানোই দুরূহ ব্যাপার হয়ে যাবে। আমি আশা করবো এই ল্যাবটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে। আরও ল্যাব প্রয়োজন হলে আপনারা আরও ল্যাব স্থাপন করবেন। পাশাপাশি আইসোলেশন সেন্টার যেটা খুবই প্রয়োজন, কারণ একটি ব্যক্তি যখন শনাক্ত হয়ে যাবে, তখন তো তাকে কোথাও রাখতে হবে। রাখার জায়গাটি আমি মনে করি খুবই প্রয়োজন।’
সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব নিয়ম মেনে চলে চিকিৎসা নিলেই করোনা ভালো হয়ে যাবে।’
বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক জানান, গাজীপুরের চন্দ্রায় স্থাপিত এই ল্যাব বিশ্বের অন্যতম সর্বাধুনিক। এতে প্রতি শিফটে ১৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। আর এতে কাজ করবেন ১৬ জন স্টাফ। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী শিফট ও মেশিন সংখ্যা বাড়ানো হবে।