ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আজ ঢামেকের ১৫৭ জন শিক্ষার্থী টিকা নেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রথম টিকা নেন ঢামেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্যন্যা সালাম সমোতাসহ ছয় শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যারা পঞ্চম বর্ষে পড়ছেন প্রথম অবস্থায় তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এই মেডিকেল শিক্ষার্থীরা কোভিড রোগীদের সঙ্গে কাজ করছে এবং আগামীতেও করবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে এদের আগে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশেই টিকা উৎপাদনে নির্দেশনা দিয়েছেন। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। ওষুধ উৎপাদনের মতো করে শিগগিরই দেশে টিকা উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে। ওষুধের মতো দেশের চাহিদা মিটিয়ে এই টিকা আগামীতে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা আমদানিতে চীন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। একই সঙ্গে আমেরিকা, যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও আলোচনা এগিয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশে টিকা প্রাপ্তিতে আগামীতে কোনো সমস্যা থাকবে না।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।