মঙ্গলবার রাতে হবিগঞ্জের ভাটি শৈলজুড়া গ্রামে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাকবিতণ্ডার জের ধরে ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়েছেন।
নিহত যুবকের নাম সজিব আহমেদ (২০)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বড়ইকান্দি গ্রামের কাজীবুর রহমানের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারী যুবক লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে কাদির আহমেদ উজ্জ্বলকে (২৭) আটক করেছে।
এলাকাবাসী জানান, সজিব সম্প্রতি সদর উপজেলার শৈলজুড়া গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। একপর্যায়ে মানিক মিয়ার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু বিয়েতে রাজি হননি তার বড় মেয়ের জামাতা কাদির আহমেদ উজ্জ্বল।
মঙ্গলবার রাতে বিয়ে নিয়ে আলোচনায় সজিবের সঙ্গে উজ্জ্বলের কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে উজ্জ্বল ছুরি দিয়ে সজিবকে আঘাত করলে তিনি মারাত্মক আহত হন।
গুরুতর অবস্থায় সজিবকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত উজ্জ্বলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সদর থানার সেকেন্ড অফিসার জুয়েল সরকার জানান, সজিব ও উজ্জ্বলের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় সজিব একটি লাঠি দিয়ে উজ্জ্বলের হাতে আঘাত করে। তখন উজ্জ্বল উত্তেজিত হয়ে ছুরি দিয়ে সজিবকে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
সদর থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, ঘটনাস্থল থেকেই হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।