করোনায় স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আবার মাঠে গড়াবে। আসরটির শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে স্থগিত আসরে বেশির ভাগ বিদেশি ক্রিকেটারদের দেখা যাবে না। টুর্নামেন্টের ৩১টি ম্যাচ এখনও বাকি। আইপিএল টুর্নামেন্ট মাঝপথে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এর মধ্যেই ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান গুনেছে।
ইংল্যান্ড এর মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, আইপিএল টুর্নামেন্ট শুরু হলেও তাদের ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমানকেও ছাড়পত্র দেবে না বিসিবি। এছাড়া অজি তারকা প্যাট কামিন্সেরও না খেলার খবর পাওয়া গেছে। বিসিসিআইয়ের আশঙ্কা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো কিছু ক্রিকেট বোর্ড হয়তো তাদের ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র না দেওয়ার ঘোষণা দেবে।
যে কারণে বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া আইপিএল শেষ করার ব্যাপারেও ভাবছে বিসিসিআই। খলিজ টাইমসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য আপাতত এই টুর্নামেন্টটা শেষ করা। ফলে যে বিদেশি ক্রিকেটারদের আমরা হাতের কাছে পাব, তাদের নিয়েই এই টুর্নামেন্টটা শেষ করব। যদি কোনো বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে না চান, তাহলেও এই টুর্নামেন্ট বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না।’
ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের কারণে আইপিএল টুর্নামেন্ট মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের দেশে ফেরাটা যথেষ্ট কঠিন একটা বিষয় হয়ে ওঠে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অজি ক্রিকেটাররা মালদ্বীপে কোয়ারেন্টিন করেন। তারপর বিমান যোগাযোগ শুরু হলে নিজ দেশে গিয়ে আবারও কোয়ারেন্টিন! আবার আইপিএল খেলতে এসে এত ঝামেলা পোহাতে তারা রাজি হবেন কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও জানিয়েছে, তাদের ক্রিকেটাররা দুবাই যাবে কি-না সে ব্যাপারে আলোচনা হয়নি।