বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম থেকে সরে আসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত সব ধরনের সেবা কার্যক্রম হবে অনলাইনেই। এরই মধ্যে নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ, ভোটার তালিকায় ঠিকানা স্থানান্তর, জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধনসহ সব ধরনের কাজ অনলাইনে শুরু করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম থেকে সরে আসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত সব ধরনের সেবা কার্যক্রম হবে অনলাইনেই।
এরই মধ্যে নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ, ভোটার তালিকায় ঠিকানা স্থানান্তর, জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধনসহ সব ধরনের কাজ অনলাইনে শুরু করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া আগামী এক মাসের মধ্যে ইসি একটি নতুন অ্যাপ তৈরি করতে যাচ্ছে। এটি ব্যবহার করে যে কোনো নাগরিক ভোটার তালিকা বা এনআইডি সংশোধন, হারানো কার্ড উত্তোলন, ঠিকানা স্থানান্তর এবং নতুন ভোটার হওয়ার কাজ ঘরে বসেই করতে পারবেন। শুধু ছবি তোলা, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।
সেক্ষেত্রে থানা/উপজেলা অফিসগুলোতে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, এনআইডি এবং ভোটার তালিকার সব কাজ অনলাইন সার্ভিসে চালু করা হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে। এ থেকে ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে। তবে মাঠ পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তল্লাশির কাজ এখনই পুরোপুরি তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, একটা বিশেষ অংশের মানুষের জন্য পুরোপুরি অনলাইন সার্ভিস চালু করা হয় তো সম্ভব।
কিন্তু পুরো দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিলে এখনই মাঠে গিয়ে হালনাগাদের কাজ পুরোপুরি তুলে দেওয়ার বিষয়টি কতটুকু বাস্তবভিত্তিক হবে তা চিন্তাভাবনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আরো কিছুদিন হয় তো সীমিত পর্যায়ে চালু রাখতে হবে—এই পদ্ধতি। ইসির এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবারে হালনাগাদে মাঠে নামার সুযোগ নেই।
তাই চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে তারা অনলাইনে সব সার্ভিস দেওয়া শুরু করেছেন। এই কাজে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জনগণের ভোগান্তিও অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। তাই মাঠে নেমে হালনাগাদের কর্মসূচি বাতিল করে অনলাইনেই সব কাজ চালানোর পথে হাঁটছে ইসি।
তারা আরো বলছেন, ভোটার তালিকার বিদ্যমান আইনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আইনে বলা আছে, ইসির নির্ধারিত পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর খসড়া তালিকা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। পরে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা যাবে। কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের সব নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
তারই অংশ হিসেবে ১০ বছর বয়সিদের তথ্য সংগ্রহ করার কাজে হাত দিচ্ছে তারা। দেশে ২০১১ সালের পরে যারা জন্মগ্রহণ করেছে তাদের নিবন্ধনের ঘোষণা শিগগিরই আসছে। ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন ১৮ বছরের নিচে অর্থাত্ ১৬ বছর বয়সিদের এনআইডি কার্ড দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিনা মূলে কার্ড পেয়ে যাচ্ছে তারা ঘরে বসে। এনআইডি উইংয়ের আইডিইএ প্রজেক্টের অফিসার ইনচার্জ (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান জানিয়েছেন, ২৭ এপ্রিল থেকে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রসেবা সফলভাবে চলছে।
এতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০১৯ কার্যক্রমে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সি নিবন্ধিত নাগরিকরাও জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি জানান, গত হালনাগাদের সময় ১৬ হতে ১৮ বছর বয়সি যারা বিভিন্ন সময় নির্বাচন অফিসে এসে নিবন্ধন করেছেন, তারাও অনলাইনে এনআইডি কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে আবেদন করে বায়োমেট্রিক দিয়ে যারা নতুন নিবন্ধিত হবেন, তারা সবাই জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে পারবেন।