বানভাসি মানুষের যেন ত্রাণের কোনো ঘাটতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে (ভার্চুয়াল) প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘আজকে মূলত বন্যা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বন্যাটা নিয়ে যাতে আমরা সবাই প্রস্তুত থাকি। আমরা আজকে দেখলাম পদ্মার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্পিডটা অনেক বেশি, মোর দেন থ্রি (তিনের চেয়ে বেশি)। পানির সঙ্গে পলি মাটি রয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উপর থেকে পানি এখন আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামছে। মন্ত্রিসভায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে যে, রিলিফ অপারেশন, রেসকিউ অপারেশন- এগুলো কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘মেইনলি এখন যমুনা ও পদ্মার পানিটা আসছে। মেঘনার পানি সুনামগঞ্জ-সিলেটে যেটা ছিল সেটা একটা ফ্ল্যাস ফ্লাডের মতো ছিল ৬-৭ দিন, এখন সেটা নেমে গেছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়ে প্রস্তুত আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরাও এটা রেগুলার মনিটর করছি।’
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কী কী নির্দেশনা দিয়েছেন— জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন— মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, ত্রাণে যেন কোনো ঘাটতি না হয়। চরাঞ্চলে যারা বসবাস করেন, বন্যার এই সময়ে তাদের বাঁধের দিকে বা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে বলেছেন। সুতরাং সেখানে যেন তাদের জীবন-জীবিকা, খাওয়া-দাওয়ায় অসুবিধা না হয়। টয়লেট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ওয়াটার পিউরিফাই, মেডিসিন, স্বাস্থ্যসেবা যেন অ্যাভেইলেবল থাকে। এছাড়াও দায়িত্বে থাকা সবাই সদর দফতরে থাকবে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যারা রয়েছেন, তারা যেন নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করেন।
মন্ত্রিপরিষ সচিব আরও জানান, বৈঠকে চারটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে কোম্পানি আইন ২০২০ খসড়া ও বাংলাদেশ ট্রভেলস এজেন্সি আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।