উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে পদ্মায় তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টের পদ্মা নদীতে পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। স্রোতের কারণে দেশের দক্ষিণবঙ্গ যাতায়াতের প্রধানপথ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটে আজ সোমবারও সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে নৌরুটে দুটি বড় ও তিনটি ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে স্রোত মোকাবিলা করে বিকল্প চ্যানেলে পৌঁছাতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। লেগে যাচ্ছে অনেক বেশি সময়।
এদিকে, ফেরি-স্বল্পতায় শিমুলিয়ায় নদী পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে সাড়ে তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন। আর ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ নৌরুটের যাত্রীরা।
অন্যদিকে, নদীতে লাগাতার পানি বৃদ্ধির কারণে শিমুলিয়া ঘাটের প্লাটুনের অ্যাপ্রোচ বারবার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে গাড়ি ওঠানামা করতেও সমস্যা হচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, বন্যার পানিতে তীব্র স্রোতে কয়েক দিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বহরের ১৪টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে। নদী পাড়ি দিতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার ওপরে লেগে যাচ্ছে। প্রচণ্ড স্রোত ফেরিগুলোকে চ্যানেলের বিপরীত দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো হলে বাকি ১১টি ফেরি চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসির ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘প্লাটুনের অ্যাপ্রোচে পানি উঠে গেল আবার বালু ও ইট দিয়ে উঁচু করে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।