নরওয়ের বিজ্ঞানী বের্গের সরেনসেন এমন দাবি করেছেন, ‘নতুন করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক নয় বরং ল্যাবে তৈরি হয়েছে’। ফোর্বস অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তার গবেষণা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।
সেরেনসেন ও ব্রিটিশ অধ্যাপক অ্যাঙ্গাস ডালগ্লেইশের ওই গবেষণায় করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের ক্রমগুলো কৃত্রিমভাবে সাজানো বলে ধারণা করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আবিষ্কারের পর ভাইরাসটির যে মিউটেশন তাতে বোঝা যায়, এটি ইতোমধ্যেই মানবদেহে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
নরওয়েজিয়ান সংবাদ সংস্থা এনআরকে-কে সরেনসেন জানান, নতুন ভাইরাসটির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য সার্স থেকে আলাদা, যা প্রকৃতিতে কখনো শনাক্ত করা যায়নি।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই করোনাভাইরাস নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণায় সহযোগিতা করে আসছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মহামারির শুরু থেকেই উহানের ভাইরোলজি ল্যাবে নতুন করোনাভাইরাস তৈরি করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠে। যদিও উহানের ল্যাব কর্মকর্তারা চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, এ ধরনের দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ এবং উহানের ল্যাবে সার্স কোভ-২ এর মতো ভাইরাস নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি।
সেরেনসেনের মতে, চীনা বিজ্ঞানীরাই ভাইরাসটির প্রথম জিনোম সিকোয়েন্স প্রকাশ করেছেন। এরপরই তারা এ জাতীয় গবেষণা বন্ধ করেছেন।
কোয়ার্টারলি রিভিউ অব বায়োফিজিক্স-এ প্রকাশিত ওই গবেষণা সহকারীর দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটেনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স (এমআই-৬) এর সাবেক প্রধান কর্মকর্তা স্যার রিচার্ড ডিয়ারলাভ।
তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এমআই-৬ এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডেইলি টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ভাইরাসটি দুর্ঘটনাবশত ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে। চীন ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাসটিকে না ছড়ালেও, তারা স্বেচ্ছায় এই মহামারির ব্যপারটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাই এর দায়-দায়িত্ব ও ক্ষতিপূরণ তাদের দেওয়া উচিত কি না, এখন সেই প্রশ্ন উঠে আসছে।’
ওই সমীক্ষায় করোনার সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের ‘বায়োভ্যাক-১৯’ কার্যকারিতার পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়। বায়োভ্যাক-১৯ ভ্যাকসিনটি এখন প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে আছে।