তার পরেই ১৬২২ ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের খবর আসে। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যোগাযোগ করে দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকা। ফোনে তিনি বলেন, ‘১৬২২ ভোটে জিতেছি আমি।’ যদিও পোস্টাল ব্যালট ছাড়া মমতার সঙ্গে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান ৯৭৮৭ ভোটের। তার পর সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামে নিজের হেরে যাওয়ার কথা জানান মমতা।
তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম যা রায় দেবে, মাথা পেতে নেব।’ এর কিছু পরে টুইট করে তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে গণনা এখনও চলছে। কোনো রকম জল্পনায় কান না দেয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয় ওই টুইটে।
তবে নিজে হারলেও দলের জয়ের জন্য বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলার জয়ের জন্য সকলকে অভিনন্দন। বাংলার জয়, মানুষের জয়। বাংলা আজ ভারতকে বাঁচিয়েছে।’
নন্দীগ্রামের মানুষ যা করেছেন, ভালো করেছেন, বলেন তিনি। একই সঙ্গে ফলাফল নিয়ে এই বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। তার অভিযোগ, ‘আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে, রায় ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে।’
এর আগে যদিও সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, ১২০২ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। সার্ভারের ত্রুটির জেরে দুপুরে এমনিতেই চল্লিশ মিনিট ভোটগণনা বন্ধ ছিল সেখানে। তারপর মমতার জয়ের খবর সামনে আসার পরও কোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। তার পরেই জানা যায়, শুভেন্দু জয়ী হয়েছেন। তবে কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।