দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর অর্ধেকটাই রাজধানী ঢাকায়। তাই এখানে দ্রুত লকডাউনের ঘোষণা দিতে বিশেষজ্ঞরা অনুরোধ করে আসছিলেন। সরকার ইতোমধ্যে রাজধানীর রেড জোনগুলো চিহ্নিত করেছে। আগামীকাল থেকেই লকডাউনের ঘোষণা আসার কথা। এছাড়া আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- রেড জোন এলাকায় লকডাউন কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে সাধারণ ছুটিও শুরু হয়ে যাবে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় গতকাল শুক্রবার এসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। রেড জোন এলাকার সংজ্ঞা নির্ধারণে আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সবশেষ ১৪ দিনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার কোনো এলাকায় যদি ৬০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় তাহলে সেটা রেড জোন। ঢাকার বাইরের কোনো এলাকার ক্ষেত্রে যদি একই সময়ের মধ্যে ১০ জন রোগী চিহ্নিত হয়, তাহলে সেটা হবে রেড জোন।
এই সংজ্ঞার ভিত্তিতে ঢাকার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৪৯টি এলাকাকে। সেগুলো হচ্ছে- গ্রিনরোড, গুলশান, আদাবর, আগারগাঁও, আজিমপুর, কলাবাগান, কাকরাইল, বাবুবাজার, বাড্ডা, বনশ্রী, বনানী, বংশাল, বাসাবো, বসুন্ধরা, চকবাজার, ডেমরা, ধানমণ্ডি, ইস্কাটন, ফার্মগেট, গেণ্ডারিয়া, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, কল্যাণপুর, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, লালমাটিয়া, মালিবাগ।
আরো আছে- মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, মুগদা, মিরপুর-১, মিরপুর-১২, মগবাজার, মহাখালী, পল্টন, রাজারবাগ, রামপুরা, রমনা, শাজাহানপুর, শাহবাগ, শ্যামলী, শান্তিনগর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, উত্তরা, ওয়ারী। ‘বাংলাদেশ রিস্ক জোন বেজড কোভিড-১৯ কন্টিমিনেট ইমপ্লেমেন্টশন স্ট্রাটেজি’ শীর্ষক এক নির্দেশনা অনুযায়ী শিগগিরই এই এলাকাগুলোতে পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা আসছে। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকা সাধারণ ছুটির আওতায় চলে আসবে।