মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়ির সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এসময় শত শত বিক্ষোভকারী বাড়ির গেটের বাইরে জড়ো হয়ে ইট-বোতল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ওয়াশিংটনে সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের বাইরে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হাতে নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এসময় তারা শ্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভকারীরা ইট-বোতল নিক্ষেপ করতে থাকেন। আতশবাজি জ্বালাতে থাকেন। কমপক্ষে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় দাঙ্গা পুলিশ এসে হোয়াইট হাউস থেকে পুরো স্কোয়ার ঘিরে ধরে। এতে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বাইরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে হোয়াইট হাউসে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহধর্মিণী মেলেনিয়া ট্রাম্প, ছেলে ব্যারন ট্রাম্প।
এ সময় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় তাদের সবাইকে হোয়াইট হাউজের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নিয়ে যান সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। ট্রাম্প বাঙ্কারে এক ঘণ্টার কম সময় ধরে ছিলেন। এর পর তাকে উপরে নিয়ে আসা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ব্যবহার করে সাউন্ড গ্রেনেড।
ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে লিখেন, ‘কঠোর হন ডেমোক্র্যাট মেয়র এবং গভর্নর। এই মানুষগুলো নৈরাজ্যবাদী। এখনই ন্যাশনাল গার্ডকে ডাকুন। বিশ্ব আপনার ঘুমন্ত অবস্থা দেখে হাসছে। এটাই কি আমেরিকা চায়? না!!!’
২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বড় শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নির্মমভাবে নিহত হন। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই বিক্ষোভ। যা এখনো চলছে।
এদিকে ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করেছে মিনিয়াপলিস পুলিশ বিভাগ।
এদের মধ্যে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা ৪৪ বছর বয়সী দেরেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।