ঢাকা-চট্টগ্রাম-না.গঞ্জ-গাজীপুর রেড জোন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তার কুইক রেসপন্স টিম গঠন
করোনাভাইরাস ঝুঁঁকিপূর্ণ এলাকার বা রেড জোনে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে আসতে হবে না। যে কোনো সময় নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তার জন্য কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
বুধবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনা ঝুঁঁকিপূর্ণ এলাকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে আসতে হবে না। সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যাতে তারা বাসায় বসে কাজ করতে পারেন। ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তাদের অফিসে আসার দরকার নেই। বাকিরা বাসায় থেকে কাজ করবেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যারা ঝুঁঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোনে বসবাস করেন তাদের আপাতত সচিবালয়ে আসার দরকার নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপাতত ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরকে আমরা রেড জোন বলছি। আবার ঢাকারও পুরোটা রেড জোন হয়তো হবে না। এখানে সংক্রমণের হার কম বেশি রয়েছে। রেড জোনকেও ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করা হবে। তা না হলে তো কার্যক্রম থমকে যাবে।
তিনি বলেন, কোথায় কতজন আক্রান্ত আছে সেটা ম্যাপিং করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ একটি ম্যাপ জমা দিয়েছে। প্রতিদিন পরিস্থিতির সঙ্গে ম্যাপও পরিবর্তন হবে। আক্রান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী ম্যাপের বিভিন্ন এলাকা রেড, ইয়োলো ও গ্রিন হবে। সফটওয়্যারটা রেডি। এখন ডিসিশনটা নিয়ে আজকালকের মধ্যে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়ে যাবে।
অফিস চালু রাখার ক্ষেত্রে আরো কিছু দিক-নির্দেশনা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, লিফটের বিষয়ে বলেছি, আপাতত লিফটে ওঠার দরকার নেই। এটা করছি যাতে আমরা সংক্রমণ ঝুঁঁকিটা রোধ করতে পারি। তবে অফিস চালাতে তাদেরও আমাদের প্রয়োজন। ভালো জায়গায় থাকেন-এমন কাউকে হয়তো আসতে বলা হচ্ছে। ঝুঁঁকিতে যারা আছেন আমরা তাদের ডাকছি না। এমনিতেই বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তানসম্ভবা নারীদের আসা নিষেধ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের মুভমেন্ট হলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে। বিভিন্ন স্টেজ আছে, আস্তে আস্তে ছড়াতে ছড়াতে শেষের দিকে হয়তো বেশি ছড়াবে। এর চেয়েও সামনে বাড়বে হয়তো। বেড়ে আবার নামা শুরু করবে। আমরা ১৫টি দিন দিয়েছি। আজ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস পঞ্চম দিন। প্রথম দিনের চেয়ে আরও কম সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অফিস করছি।
তিনি বলেন, আমাদের মেসেজটা অলরেডি সব জায়গায় পৌঁছে গেছে। অফিস টাইমটাও খুবই ফ্লেক্সিবল। যার যখন কাজ শেষ হবে দ্রুত চলে যাবে। যদি কেউ দুই ঘণ্টায় কাজ শেষ করতে পারে সে চলে যাবে। যদি না এসে বাসায় বসে করতে পারে করে দেবে। কোনো কিছু আটকাবে না। কিন্তু মুভমেন্টটা কম থাকবে। দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নানা নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সহায়তার কুইক রেসপন্স টিম গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির টিম লিডার করা হয়েছে উপসচিব ডা. মো. নুরুল হককে। এ কমিটি করা হলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হলে উক্তটিম তার বা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করবে। প্রয়োজনে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে ওষুধ, চিকিৎসাসহ সকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রতিবেদন আকারে যুগ্মসচিব প্রশাসনের কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে।