খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত: ডা. মামুন, করোনা শনাক্তের বিষয় নিশ্চিত করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক। এতে জানা যায় যে, ‘প্রায় পাঁচ-ছয় দিন আগে খালেদা জিয়ার বাসার একজন স্টাফের জ্বর জ্বর ভাব প্রকাশ প্রায়। পরেরদিন তার শরীরে ব্যথা আছে বলে জানা যায়। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিন দিন আগে তার করোনা টেস্ট করা হয়। এতে ফল পজিটিভ আসে।’
‘এরপর ওই স্টাফ যে রুমে থাকেন, সে রুমের ছয় জন স্টাফের সবার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এবারও সবার ফল পজিটিভ আসে। তবে তাদের জ্বর, কাশি বা অন্য কোনো উপসর্গ ছিল না এবং এখনো নেই’, যোগ করেন তিনি।
ডা. মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘পরেরদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে দুই জন থাকেন, তাদেরও টেস্ট করানো হলে করোনা শনাক্ত হয়। পরে গতকাল সকালে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয় এবং ফল পজিটিভ আসে। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো উপসর্গ নেই।’
খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্তের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক হিসেবে গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। জানানোর দায়িত্ব আমার নয়, দলীয় নেতৃত্বের। দলের পরিকল্পনা ছিল প্রেস কনফারেন্স করে বিষয়টি জানানোর। ডাক্তার হিসেবে আমি যেহেতু জানাতে পারি না, সে কারণেই সকালে আপনার সঙ্গে যখন কথা হয়েছে, স্বীকার করিনি।’
ডা. মামুন আরও বলেন, ‘আমরা এখনো (বিকাল ৫টা) খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার অফিসিয়াল রিপোর্ট হাতে পাইনি। আইসিডিডিআর,বি-তে খালেদা জিয়ার রক্ত পরীক্ষাসহ আরও কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেগুলোর অফিসিয়াল রিপোর্ট আরও ঘণ্টাখানেক পরে হাতে পাব।’
খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ এই তথ্য আপনারা আগে জেনেছেন, না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে ছড়িয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে ডা. মামুন বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। ডাক্তার হিসেবে এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্যও করতে চাই না।’
‘বেগম খালেদা জিয়ার জন্যে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আগে থেকেই একটি কেবিন বুক করে রাখা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত তার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। তাছাড়া বাসাতেও অক্সিজেনসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। বলতে পারেন, হাসপাতালের মত ব্যবস্থা আমরা নিয়ে রেখেছি। তার চিকিৎসার একটি মেডিকেল বোর্ড আছে। তারা পুরো বিষয়টি দেখছেন’, বলেন তিনি।