করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন বুলেটিন বন্ধের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যখাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, বুলেটিন বন্ধ না করে তা আরও উন্মুক্ত করলে পরিস্থিতি বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতো দেশের মানুষ। তবে এটি সাময়িক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিকল্প উপায়ে তথ্য জানানোর কথা বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ঘড়ির কাঁটায় আড়াইটা। বুধবার থেকে আর দেখা যাবে না টেলিভিশনের পর্দায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিন। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর ফেব্রয়ারির প্রথম সপ্তাহে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা অনলাইন বুলেটিনে তথ্য জানানো শুরু করলেও পরে দীর্ঘসময় ধরে এ কাজটি করে আসছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা। এই বুলেটিন থেকেই দেশের করোনা পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য জানতে পারতো সাধারণ মানুষ।
হঠাৎ করে এ বুলেটিন বন্ধ করে দেয়া হলেও বিষয়টিকে সাময়িক বলছে অধিদপ্তর। আর মন্ত্রণালয় বলছে, বিকল্প উপায়ে তথ্য জানানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এরকম না যে আমরা পুরো বন্ধ করে দিয়েছি। আপাতত কিছুদিন বন্ধ থাকুক, দেখি আমাদের অবস্থান। তারপর হয় তো দেব। কারণ দিনের পর দিন একজন মানুষের পক্ষে এরকম করে মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে যাওয়া, এটা যে কতখানি মানসিক নির্যাতন, এটা না করলে বুঝতে পারতেন না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব আবদুল মান্নান বলেন, বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে। বিকল্প বলতে পত্রিকা বা স্ক্রলে দেয়া।
তবে, অধিদপ্তরের এ সিদ্ধান্তকে নেতিবাচক মনে করছেন স্বাস্থ্যখাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, বুলেটিন বন্ধ না করে এর পরিসর আরও বাড়ানো উচিত।
আইইডিসিআর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমেদ বলেন, বন্ধ করা উচিত দেয়া নয়, এটাকে উন্মুক্ত করা উচিত ছিল।
করোনাকালে তথ্যের অবাধ প্রবাহ দুর্যোগ পরিস্থিতি সামাল দিতে সহায়ক হতো বলে মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।