করোনার কারণে আইপিএল আয়োজন নিয়ে চলছিল তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। ইতোমধ্যে দিল্লির উচ্চ আদালতে টুর্নামেন্ট বন্ধ চেয়ে মামলাও করা হয়েছে। কঠোর জৈব সুরক্ষার মধ্যেই চলছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এখন পর্যন্ত ২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও মাঝপথে করোনায় আক্রান্ত শুরু হতে শুরু করেছেন ক্রিকেটার ও স্টাফরা।
এমন পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছে আয়োজকরা। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
এ বিষয়ে আইপিএলের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এই মৌসুমের জন্যই স্থগিত হয়ে গেছে আইপিএল।’
অন্যদিকে, আইপিএলের সভাপতি ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, ‘আইপিএল সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তার কথা ভেবেই স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল।’
আইপিএলে করোনাভাইরাসের আক্রমণ শুরু হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দিয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলার পর ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলতে নামার আগে করোনায় আক্রান্ত হন দলটির দুই সদস্য-বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র। ফলে স্থগিত হয় সে ম্যাচটি।
এরপরই খবর আসে চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরেও হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। দলটির বোলিং কোচ বালাজি ও তিনজন স্টাফ আক্রান্ত হওয়ায় অনুশীলন বাতিল করা হয়। শুধু তাই নয়, বুধবার (৫ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চেন্নাই এবং রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচও স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে মাঠে নামার কথা ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইরাজার্স হায়দ্রাবাদের। কিন্তু এই ম্যাচের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন হায়দ্রাবাদের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। এছাড়া দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্রও করোনায় আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া যায়। এমন দিশেহারা অবস্থায় শেষ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই।