‘বড় ধরনের অনিয়মের আশঙ্কায়’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ফাইন্যান্স কমিটির সভা বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার সকালে উপাচার্যের বাসভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রলীগের ২৫-৩০ জন নেতা–কর্মী প্যারিস রোডের পাশে উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ১০টায় সেখানে ফাইন্যান্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত হতে না পারায় শেষ পর্যন্ত সভাটি স্থগিত করা হয়। এরপর বেলা একটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বাসভবনের তালা খুলে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, ‘উপাচার্য স্যারের কাছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে চিঠিগুলো এসেছিল, তিনি তো তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। আগামী ৬ মে ওনার মেয়াদ শেষ। আমরা সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এই সময়ে একাডেমিক কোনো জরুরি বিষয় নেই। এই ক্রুশিয়াল সময়ে ফাইন্যান্স কমিটি, সিন্ডিকেট সভা করার এত তাড়া কিসের? আমাদের আশঙ্কা, এই শেষ সময়ে উনি কোনো অবৈধ প্রকল্পের অনুমোদন দিতে পারেন। তাই তিনি আর এমন কোনো কাজ যেন করতে না পারেন, সে জন্যই আমাদের এই কর্মসূচি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্যের কাছে তিনটি চিঠি আসে। একটি চিঠিতে তার মেয়ে ও জামাতার নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না, তার ব্যাখ্যা সাত কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্য চিঠিতে, ডুপ্লেক্স বাড়ি নিয়মবহির্ভূতভাবে দখলে রাখায় উপাচার্যকে সরকারি কোষাগারে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আরেকটি চিঠিতে, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবদুল বারীকে অব্যাহতি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে ছাত্রলীগের কর্মসূচি চলাকালে মাস্টাররোলের ২০-২৫ জন্য কর্মচারীও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তাঁরা ব্যানারে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানান।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্রায় ৩০ জন শিক্ষক উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন। তাঁরা ফাইন্যান্স কমিটির সভা স্থগিত করার দাবি নিয়ে বাসভবনে ঢুকতে চান। তবে বাসভবনে তালা লাগানো থাকায় তাঁরাও ভেতরে যেতে পারেননি। পরে বেলা একটায় ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে আমচত্বরে শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সভা স্থগিতের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ফাইন্যান্স কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য বাসভবনের গেটে তালা ছিল, ফলে কমিটির সদস্যরা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় সভা হয়নি। আমি টেলিফোনে সভা স্থগিত করে দিয়েছি।’
এরপর দুপুর ১২টার দিকে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্রায় ৩০ জন শিক্ষক উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন। তাঁরা ফাইন্যান্স কমিটির সভা স্থগিত করার দাবি নিয়ে বাসভবনে ঢুকতে চান। তবে বাসভবনে তালা লাগানো থাকায় তাঁরাও ভেতরে যেতে পারেননি। পরে বেলা একটায় ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে আমচত্বরে শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সভা স্থগিতের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ফাইন্যান্স কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য বাসভবনের গেটে তালা ছিল, ফলে কমিটির সদস্যরা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় সভা হয়নি। আমি টেলিফোনে সভা স্থগিত করে দিয়েছি।’