গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের পর পবিত্র ঈদুল ফিতরে হতে পারে টানা বৃষ্টি। এমটিই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এবার ঈদটা মোটামুটি বৃষ্টির মধ্য দিয়েই যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দেশের হাওরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কাও রয়েছে।
যদিও গ্রীষ্মের শুরুটা এবার ব্যতিক্রম ছিল—গরম আর বৃষ্টিহীন। অবশেষে মে মাসে এসেছে বৃষ্টি, ফিরেছে স্বস্তি।
গতরাতে বৃষ্টি হয়েছে সারা দেশেই। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় ময়মনসিংহে, ৭৫ মিলিমিটার। দিনের বেলা ময়মনসিংহে ঝড়ও হয়। সেখানে গাছপালা উপড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া নেত্রকোনায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৪ মিলিমিটার।
ময়মনসিংহের পরই অধিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহীতে। কম হয়েছে খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে।
খুলনা বিভাগের মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে শুধু মোংলায়—৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের কক্সবাজার, সন্দ্বীপ, মাইজদী কোর্ট, কুতুবদিয়া ও টেকনাফে।
শেষ রাতের মতো আজ মঙ্গলবার সকালেও বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। সকাল ১০টার দিকে ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। যদিও সেই বৃষ্টি স্থায়ী ছিল না বেশিক্ষণ। গতরাতে ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৪ মিলিমিটার।
তবে ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় কিশোরাগঞ্জের নিকলীতে, ৩৫ মিলিমিটার। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
রংপুর বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে, ৬৬ মিলিমিটার। সারা দেশের জেলাগুলোর মধ্যে এই বৃষ্টিপাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় ৩৭, সৈয়দপুরে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রাজশাহীর বদলগাছীতে বৃষ্টি হয়েছে ৬৩ মিলিমিটার, বগুড়ায় ৩৯ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটের অনেক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। এসব এলাকায় মাঝারি বা ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই দিন বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
মোহাম্মদ শাহীনুল ইসলাম আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃষ্টি হবে। তাই বলা যায়, এবারের ঈদটা বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে যাবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, আজ দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।