আর কিছুক্ষণ পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ রাজভবনে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ পাঠ করাবেন। ২০১১ ও ২০১৬ সালের মতো এবার শপথগ্রহণ সমারোহে কোনও বৃহৎ আয়োজন করা হচ্ছে না। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণে এসেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। রাজভবনের ময়দানে বিরাট মঞ্চ তৈরি করে বৃহৎ জনসমাগমের মাধ্যমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। দ্বিতীয়বার মমতার শপথ হয়েছিল রেড রোডে। সেবার আবার দেশের বিজেপি বিরোধী সব নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, ২০১১ সালের মতোই এবারও মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক না হয়েই শপথ নিচ্ছেন। কারণ, নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। যদিও, সেই ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবার আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০১১ সালে সরকার ক্ষমতায় এলে ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতে সাংবিধানিক নিয়মরক্ষা করেন মমতা। ২০১৬ সালে অবশ্য সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভবানীপুর থেকে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। কিন্তু, এবার নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন।
করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রাজভবনের হলে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে মমতার তৃতীয়বারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। কলকাতার কিছু বিশিষ্ট মানুষ সহ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই কর্মসূচীতে। রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে গতবারের তুলনায় শক্তি বাড়িয়ে ২১৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা। জয়ী পাওয়ার পর বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাদের দায়িত্বের কথা এবং তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য তরোনা নিয়ন্ত্রণ।