বাংলাদেশ জাতীয় দলে ব্যাটিং এবং স্পিন বোলিং কোচের জায়গাটা নিয়ে ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন। সুনীল যোশি এবং নিল ম্যাকেঞ্জি চলে যাওয়ার পর থেকেই ম্যাজিক্যাল চেয়ারের মতো হয়ে গেছে এ দুটো জায়গা।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরি স্পিন ডিপার্টমেন্ট সামলালেও, তার উচ্চমূল্য এবং নানান চাহিদা সবসময়ই নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে সবাইকে। কোভিডের কারণে এখন তার দেশ ছেড়ে টাইগার শিবিরে আসাটাও হয়ে গেছে নতুন চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে ম্যাকেঞ্জির জায়গায় নিউজিল্যান্ডের ম্যাকমিলানের নাম শোনা গেলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আসেননি তিনিও। পরে সিরিজ বাই সিরিজ কাজ চালিয়ে গেছেন জন লুইস নামে এক ইংলিশ ব্যক্তি।
কিন্তু এই সাময়িক সময়ের কোচ দিয়ে আর কাজ চালাতে চাইছে না বিসিবি। তাই তো শুরু হয়েছে নতুন কোচের সন্ধান। সিনিয়র ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে, জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই যারা যুক্ত হবেন টাইগার ডেরায়।
ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘সিরিজ মাত্র শেষ হয়েছে। আমরা কিছু শর্ট লিস্ট করেছি। এখন কাজ করব তাদের সঙ্গে। আগে আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বসব। তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আশা করি, জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগেই নতুনরা দায়িত্ব নিতে পারবেন।’
স্পিন বোলিংয়ের গুরু কে হবেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিদেশিদের সঙ্গে যেখানে আছে বাংলাদেশি সোহেল ইসলামের নামও। অনেক ক্রিকেটারই তার নাম সুপারিশ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আকরাম খান। তবে বিসিবির শর্ট লিস্টে সবচেয়ে ওপরের নামটা রঙ্গনা হেরাথের। ২০০ দিনের জায়গায় ১২০ দিন কাজ করতে চাওয়া হেরাথের সঙ্গে ব্যাটে বলে মিললে তিনিই হবেন প্রথম পছন্দ।
আকরাম খান আরও বলেন, ‘সোহেলকে অনেকেই চাচ্ছে। আমরা বোর্ডে আলাপ করব, দেখা যাক কী সিদ্ধান্ত হয়। আমাদের তালিকায় ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার কোচরাও আছেন। ২-১ দিনেই নাম চূড়ান্ত করব।’
এদিকে জন লুইসকে নিয়ে ক্রিকেটারদের অভিযোগের অন্ত নেই, এটা ক্রিকেট পাড়ায় সবাই জানে। বিসিবিও বিব্রত বিষয়টি নিয়ে। তাই তো নতুন গুরুর সন্ধানে তাদের প্রায়োরিটি লিস্টে সবার ওপরে সাবেক এক অজির নাম। তিনি জেমি সিডন্স।